সমস্যাটি একান্তই কিশোরীর
বয়ঃসন্ধিতে একজন
কিশোরীর শরীর
ও
মনে
ঘটে
যায়
নানা
পরিবর্তন। এর
মধ্যে
অন্যতম
হলো
মেনার্ক বা
মাসিকের সূত্রপাত। এ
সময়
এই
বয়সে
৫
থেকে
১০
শতাংশ
কিশোরী
মাসিকের সময়
তলপেটে
অসহ্য
ব্যথার
অভিযোগ
করে
থাকে।
কেউ
কেউ
স্কুল
বা
কাজকর্ম ছেড়ে
প্রায়
শয্যাশায়ী হয়ে
পড়ে।
মাসিক
শুরুর
প্রথম
এক-দুই বছরে এ
সমস্যা
সবচেয়ে
প্রকট
থাকে।
মাসিকের সময়
জরায়ুর
পেশির
অস্বাভাবিক সংকোচন
এই
ব্যথার
জন্য
দায়ী।
ব্যথা
ও
আনুষঙ্গিক উপসর্গ
কিশোরীরা মাসিক
শুরু
হওয়ার
কয়েক
ঘণ্টা
আগে
থেকে
তলপেটে
ব্যথা,
যা
কোমর
ও
ঊরুর
ওপর
অংশে
ছড়ায়,
সঙ্গে
বমি
ভাব,
অরুচি,
দুর্বলতা, মাথাব্যথা, খিটখিটে মেজাজ
ইত্যাদিতে আক্রান্ত হয়।
কারও
এক-দুই দিনের ডায়রিয়াও হতে
পারে।
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও
মানসিক
চাপ,
যেমন
আসন্ন
পরীক্ষা, ভ্রমণ
ইত্যাদি এই
উপসর্গ
বাড়িয়ে
দেয়।
দুশ্চিন্তার কিছু
নেই
বয়স
বাড়ার
সঙ্গে
সঙ্গে
পুরো
বিষয়টি
সম্পর্কে দুশ্চিন্তা ও
আতঙ্ক
কমে
যেতে
থাকে
এবং
বেশির
ভাগ
উপসর্গ
কমে
আসে।
এ
ছাড়া
সন্তান
প্রসবের পর
জরায়ুমুখ প্রসারিত হলেও
ব্যথা
চলে
যায়।
এ
সমস্যার জন্য
পরীক্ষা-নিরীক্ষার তেমন
কোনো
প্রয়োজন নেই।
চিকিৎসার প্রথম
ধাপ
হলো
বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে নেওয়া
ও
দুশ্চিন্তামুক্ত থাকা।
পুষ্টিকর খাবার
ও
প্রচুর
তরল
খাবার
দিন
এ
সময়।
স্বাভাবিক কাজকর্মে উৎসাহ
দিন।
তবে
ব্যথা
প্রচণ্ড ও
দীর্ঘস্থায়ী হলে
চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া
উচিত।
ডা.
উম্মে
রুমান
স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগ, বারডেম হাসপতাল।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, নভেম্বর ২৮, ২০১৩
স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগ, বারডেম হাসপতাল।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, নভেম্বর ২৮, ২০১৩

কোন মন্তব্য নেই