সমস্যাটি একান্তই কিশোরীর




বয়ঃসন্ধিতে একজন কিশোরীর শরীর মনে ঘটে যায় নানা পরিবর্তন। এর মধ্যে অন্যতম হলো মেনার্ক বা মাসিকের সূত্রপাত। সময় এই বয়সে থেকে ১০ শতাংশ কিশোরী মাসিকের সময় তলপেটে অসহ্য ব্যথার অভিযোগ করে থাকে। কেউ কেউ স্কুল বা কাজকর্ম ছেড়ে প্রায় শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে। মাসিক শুরুর প্রথম এক-দুই বছরে সমস্যা সবচেয়ে প্রকট থাকে
মাসিকের সময় জরায়ুর পেশির অস্বাভাবিক সংকোচন এই ব্যথার জন্য দায়ী
ব্যথা আনুষঙ্গিক উপসর্গ
কিশোরীরা মাসিক শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে থেকে তলপেটে ব্যথা, যা কোমর ঊরুর ওপর অংশে ছড়ায়, সঙ্গে বমি ভাব, অরুচি, দুর্বলতা, মাথাব্যথা, খিটখিটে মেজাজ ইত্যাদিতে আক্রান্ত হয়। কারও এক-দুই দিনের ডায়রিয়াও হতে পারে। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা মানসিক চাপ, যেমন আসন্ন পরীক্ষা, ভ্রমণ ইত্যাদি এই উপসর্গ বাড়িয়ে দেয়
দুশ্চিন্তার কিছু নেই
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো বিষয়টি সম্পর্কে দুশ্চিন্তা আতঙ্ক কমে যেতে থাকে এবং বেশির ভাগ উপসর্গ কমে আসে। ছাড়া সন্তান প্রসবের পর জরায়ুমুখ প্রসারিত হলেও ব্যথা চলে যায়। সমস্যার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার তেমন কোনো প্রয়োজন নেই। চিকিৎসার প্রথম ধাপ হলো বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবে নেওয়া দুশ্চিন্তামুক্ত থাকা। পুষ্টিকর খাবার প্রচুর তরল খাবার দিন সময়। স্বাভাবিক কাজকর্মে উৎসাহ দিন। তবে ব্যথা প্রচণ্ড দীর্ঘস্থায়ী হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত
ডা. উম্মে রুমান
স্ত্রীরোগ প্রসূতিবিদ্যা বিভাগ, বারডেম হাসপতাল।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, নভেম্বর ২৮, ২০১৩

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.